জমি ও অ্যাপার্টমেন্ট কিনার আগে ২০২৫ সালের আপডেটেড গাইড: লিগ্যাল চেকলিস্ট থেকে ডিজিটাল যাচাই প্রক্রিয়া।

বাংলাদেশ রিয়েল এস্টেট এক্সপার্ট ফোরাম, ২০২৪ সালের সূত্র থেকে পাওয়া অনুসারে,

২০২৫ সাল নাগাদ বাংলাদেশের রিয়েল এস্টেট সেক্টরে ডিজিটাল সেবার প্রসার ঘটেছে, কিন্তু প্রতারণা ও আইনি জটিলতাও বেড়েছে ৩০% বেশি।

নিচে ২০২৫ সালে জমি ও এপার্টমেন্ট কেনার আগে করণীয় লিগ্যাল এবং বাস্তবতার একটি ধারণা দেয়া হলো :

লিগ্যাল চেকলিস্ট দ্বারা ২০২৫ সালের বর্তমান  সময় পর্যন্ত ডিজিটাল যাচাই দিয়ে আমরা যতটুকু জানাতে পারি সেটাই আপনাদের সুবিধার জন্য জানিয়ে দিচ্ছি :

দলিল ও মিউটেশন সহ এ সকল ধরনের সেবা এখন আমরা পেয়ে যাচ্ছি অনলাইনে! এমনকি ই-খতিয়ান ও ডিজিটাল মৌজা ম্যাপ ও আমরা অনলাইনেই পেয়ে যাচ্ছি :

এজন্য আমাদের যেসকল সাইট গুলো ভিজিট করতে হবে :

ভূমি মন্ত্রণালয়ের ই-সেবা পোর্টাল

(eland.gov.bd)

(https://eland.gov.bd)

থেকে জমির মালিকানা, খতিয়ান, এবং মৌজা ম্যাপের ডিজিটাল কপি ডাউনলোড করতে পারবেন খুব সহজেই।

নতুন ফিচার সহ ২০২৫ সালে QR কোডযুক্ত দলিল চালু হয়েছে, যা স্ক্যান করলে জমির সকল ডিটেইলস মোবাইলে নিজের স্থানে বসেই দেখা যাবে।

ই-মিউটেশন ও স্মার্ট খতিয়ান এর মতন বিষয়গুলো নিজেই করুন।এখন মিউটেশন করুন ২৪ ঘন্টার মধ্যে এবং অনলাইনে সব কর্যগুলো সম্পন্ন করা হয় ।সরকারি ঘোষণা, ২০২৪ অনুসারে।

আপনি জমি ক্রয় এর পূর্বেই নিজেই করে নিন নিজের জমির বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন।

আপনার ক্রয়কৃত জমির মূল বিক্রেতার জাতীয় পরিচয়পত্র ও বায়োমেট্রিক ডাটা মিলিয়ে নিন নিজেই :

জাতীয় ডাটাবেস এর মাধ্যমে : https://nidw.gov.bd

অ্যাপার্টমেন্টের ক্রয় ও বিক্রয়ের জন্য ২০২৫ সালের নতুন নিয়মসমূহ:

RAJUK কতৃক গ্রিন বিল্ডিং পলিসিগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ৫ তলা ভবনের জন্য “সোলার প্যানেল” ও “বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ” করা সকলের জন্য বাধ্যতামূলক।

অনুমোদনহীন ভবনের শাস্তি হচ্ছে মালিকের জরিমানা বাবদ ৫-১০ লাখ টাকা এবং ভবন ধ্বংস করার আদেশ।

(RAJUK নোটিফিকেশন, ২০২৪ অনুযায়ী)।

ডিজিটাল ফায়ার সেফটি সার্টিফিকেট সম্পর্কে জানতে ফায়ার সার্ভিসের অ্যাপ “ফায়ার সেফটি চেক” https://firesafety.gov.bd থেকে অনলাইনে ভিজিট করুন।

বাস্তবতা যাচাই করতে ২০২৫ সালের মার্কেট ট্রেন্ডস সপরকে ধারণা ও লোকেশন অ্যানালাইসিস ও দামের পূর্বাভাস সম্পর্কে সম্পূর্ণ জ্ঞান রাখতে জমির ক্রেতা ও বিক্রেতাদের আরও কিছু বিষয় সর্ম্পকে অবগত হতে হবে :

ঢাকার মেট্রোরেল লাইন ৫ ও ৬ এর আশেপাশের জমির দাম  বেড়ে প্রতি কাঠা ২৫-৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত গিয়েছে,যেটা গত সব বছরের তুলনায় অনেক গুণ বেশি।

স্মার্ট সিটি প্রকল্প গুলোর মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্মার্ট সিটি (মিরপুর ১৪) এর আশেপাশে অ্যাপার্টমেন্টের দাম ২০% বেশি বেড়েছে গত ৩ বছরের মধ্যে।

ইউটিলিটি খরচ (২০২৫ আপডেট) :

ইউটিলিটি ঢাকায় খরচ (টাকা)

গ্যাস সংযোগ  :১,৫০,০০০ – ২,০০,০০০

সোলার প্যানেল ইনস্টলেশন : ৩,০০,০০০ – ৫,০০,০০০

STP (সিওয়েজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট) :২,০০,০০০ – ৩,০০,০০০

ফ্রড অ্যালার্ট: ২০২৫ সালে “বায়োমেট্রিক KYC” ছাড়া কোনো ডেভেলপারকে অগ্রিম কোনো রকমের একসেস দেওয়া পুরোপুরি ঝুঁকিপূর্ণ।

ফাইন্যান্সিয়াল প্ল্যানিং ও ২০২৫ সালের হালনাগাদ অনুযায়ী রেজিস্ট্রেশন ও ট্যাক্স :

জমি রেজিস্ট্রেশন ফি নেয়ার নিয়ম জমির দাম অনুযায়ী জমির মূল্যের ২% (ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশনে ১.৫%)।

অ্যাপার্টমেন্ট ভ্যাট:

১,৮০০ বর্গফুট পর্যন্ত ১২% ভ্যাট (২০২৫ সালের বাজেট)।

গ্রিন বিল্ডিং সার্টিফিকেট থাকলে ২% ছাড় দেয়া হয়।

ব্যাংক লোনের সুদের হার  নিম্নরূপ:

ব্যাংক প্রকার  : সুদের হার (২০২৫) :

সরকারি ব্যাংক : ৮.৫% – ৯.৫%

বেসরকারি ব্যাংক :১০% – ১২% ।

হিডেন কস্ট যেসব ২০২৫ এ যোগ হয়েছে :

ই-ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ফি: মাসিক ৫০০-১,০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

স্মার্ট হোম সেটআপ:অটোমেটেড লাইটিং/সিকিউরিটি সিস্টেম ইনস্টলেশন ১-২ লাখ টাকা পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে।

chicago

২০২৫ সালের সাধারণ ভুল ও সমাধান :

কোনো ক্রমেই এমন ভুল করা যাবেনা,QR কোড স্ক্যান না করে দলিল কোনো ভাবেই কেনা যাবেনা।

ভূমি অফিসের অ্যাপ “eLand Verify” দিয়ে দলিলের QR কোড স্ক্যান করুন,যে যেখানেই

থাকুন না কেন আপনার সকল দলিল যাচাই করুন যে কোন স্থানে বসে।

গ্রিন বিল্ডিং সার্টিফিকেট না দেখে কোনো ক্রমেই সামনে আগানো যাবেনা।আর এইজন্য RAJUK-এর ওয়েবসাইটে গ্রিন সার্টিফিকেট চেক https://rajuk.gov.bd/green করুন খুব সহজেই।

কোনো ভাবেই কোনো ডেভেলপারের বায়োমেট্রিক KYC ছাড়া অগ্রিম দেওয়া যাবেনা। আর এজন্যই জাতীয় পরিচয়পত্র ভেরিফিকেশন অ্যাপ NID Wing ব্যবহার করুন খুব সহজেই।

 

চূড়ান্ত চেকলিস্ট (২০২৫ সংস্করণ) :

✅ ডিজিটাল ডকুমেন্ট:ই-খতিয়ান, QR কোডযুক্ত দলিল, ই-মিউটেশন রিসিট।

✅ সাইট ভিজিট: স্মার্টফোনে GPS দিয়ে সীমানা ম্যাচ করুন (অ্যাপ: Google Earth Pro)।

✅ ডেভেলপার ভেরিফিকেশন:REHAB রেজিস্ট্রেশন + বায়োমেট্রিক KYC।

✅ ইউটিলিটি কস্ট রিজার্ভ: সোলার প্যানেল + STP এর বাজেট করুন।

২০২৫ সালের রিয়েল এস্টেট মার্কেটে টেকসই ও স্মার্ট সমাধানই প্রাধান্য পাচ্ছে। সরকারি ডিজিটাল সিস্টেম ব্যবহার করে ঝুঁকি কমাতে হবে। মনে রাখতে হবে, “প্রযুক্তিকে কাজে লাগালেই ফ্রড থেকে বাঁচা যায়”। এই গাইড মেনে আপনার বিনিয়োগ সুরক্ষিত করুন এবং নিশ্চিন্ত থাকুন!

প্রফিটেবল প্রপার্টির ইনফরমেশন  পেতে ভিজিট করতে পারেন  www.profitabd.com  ।   প্রফিটার সাথে থাকার জন্যে আপনাকে ধন্যবাদ ।

 

Spread the love

Join The Discussion